মিলি ববি ব্রাউন |একজন বধির মেয়ের সফলতার গল্প!
হ্যালো ভিউয়ার্স! কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের শোনাবো একজন বধির মেয়ের মিলিওনার হয়ে ওঠার গল্প।
মিলি ববি ব্রাউন বা স্ট্রেঞ্জার থিংস এর এলেভেন আপনি যে নামেই তাকে চিনেন না কেনো।তার বাস্তব জীবনের স্ট্রাগলের গল্প শুনলে আমার মতো আপনিও অবাক হবেন।
বর্তমান পৃথিবীতে টপ ১০০ ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে মিলি ববি ব্রাউন একজন।কিন্তু টিভি সিরিজে আমরা তাকে যেভাবে দেখি বাস্তব জীবনে তার অনেক বেশি স্ট্রাগল করতে হয়েছে।
মিলি ববি ব্রাউন যখন জন্মগ্রহন করেন তিনি তার এক কানে সিরিয়াস প্রবলেম নিয়ে জন্মগ্রহন করেন
।ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেও তার এক কানে শ্রবনশক্তি ঠিক করতে পারেন নি। সে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এক পর্যায়ে তার এক কান কাজ করা বন্ধ করে দেয়।এ কারনে তাকে জীবনে অনেক জায়গায় ছোটো হতে হয়েছে। তার স্কুলের ক্লাসমেটদের কিছু গ্রুপ তাকে হেয়,প্রতিপন্ন করতে থাকে।
তার অদম্য পথচলা শুরু হয় যখন তার পরিবার তার সুপারস্টার হওয়ার সপ্নের জন্য সবকিছু ত্যাগ করে লস এঞ্জেলাসে চলে আসে।কিন্তু এটা তার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো।তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিলো যে কারনে তাদের মিলির ম্যানেজারের থেকে ধার নিয়ে চলতে হতো।
মিলি ববি ব্রাউন জীবনে বহুবার প্রত্যাখ্যিত হয়েছিলেন।তিনি গেম অফ থ্রোন্স সিরিজেও অডিশন দিয়েছিলেন,কিন্তু সেখানেও তাকে প্রত্যাখ্যিত হতে হয়েছিলো।পরে তিনি Once Upon a time in Wonderland নামক মুভিতে অভিনয় করেন।এছাড়াও টুকটাক কিছু টিভি শো তে অভিনয় করেছিলেন।এক পর্যায়ে তার পরিবার আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে যান।এতে তার এক্টিং ছেড়ে দেয়ার মত অবস্থা হয়।কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি শেষ চেষ্টা হিসেবে নেটফ্লিক্সের সাইফাই সিরিজ স্ট্রেঞ্জার থিংসে অডিশন দেন।যেখানে অডিশন দিয়েছিলো ১০০০+ এক্টর।সৌভাগ্যক্রমে তিনি সেখানে টিকে যান।তিনি এলেভেন নামক ক্যারেক্টারে অভিনয় করেন।এবং এটি তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়।তিনি জনপ্রিয় টাইম ম্যাগাজিন দ্বারা প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ জন ফেমাস এক্টরদের মধ্যে একজন হয়ে দাড়ান।এর পরে তিনি পর্যায়ক্রমে বেশ কয়েকটি হলিঊড মুভি সিরিজে কাজ করেন।তার অভিনিত কিছু সিরিজ/ মুভির মধ্যে অন্যতম : Intruders (2014),Godzilla: King of the Monsters(2019),Enola Holmes(2020)ইত্যাদি
কিছুদিন আগে স্ট্রেঞ্জার থিংস সিরিজের ৪র্থ সিজন রিলিজ হয়।বর্তমানে তার প্রতি সিরিজের প্রতি এপিসোডে ইনকাম প্রায় 350000 USD ।তার বর্তমান সম্পদ প্রায় 10 million USD ।
অভিনয়ের পাশাপাশি তার বর্তমানে একটি Florence by mills নামক স্কিনকেয়ার কোম্পানি রয়েছে যেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের মেকআপ ও স্কিন কেয়ার সামগ্রীর বিজনেস করে থাকেন।।২০১৮ সালে ইউনিসেফ এর সর্বকনিষ্ঠ ব্রান্ড এম্বাসেডর হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।এছাড়াও তিনি স্যামস্যাং এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন।
বর্তমানে মিলি তরুন প্রজন্মের আইডল হিসেবে আছেন।সে করে দেখিয়েছেন কোনো বাধাই কাউকে আটকে রাখতে পারেনা যদি মনে থাকে প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
এতক্ষন মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।আমি লেখালেখিতে নতুন খুব ভালো লেখতে পারিনা তবুও আপনাদের ইনফর্মেটিভ কিছু দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।আশা করছি পাশে থাকবেন।
Join the conversation